মূল্যায়ন পদ্ধতি ও স্বচ্ছতা
প্রতি সেমিস্টারের পূর্বে নূন্যতম ১ টি করে বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা নেয়া হয়, যার নম্বর সেমিস্টার পরীক্ষায় যােগ করা হয়। এ ছাড়াও চলমান ও গঠনমূলক মূল্যায়নের জন্য অধ্যায় শেষান্তে/সপ্তাহান্তে শ্রেণি পরীক্ষা নেয়া হয়। ২ সেমিস্টারের গড় নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করা হয়। প্রত্যেক পরীক্ষার শেষে উত্তরপত্র মূল্যায়নের পর শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে সকল উত্তরপত্র ও প্রশ্নপত্র সহ সংশ্লিষ্ট অভিভাবকের দেখার জন্য বাসায় প্রদান করা হয়। উত্তরপত্র মূল্যায়ন সম্পর্কে অভিভাবকের মতামত ও পরামর্শ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়। তাছাড়া মেধা বিকাশের জন্য EXAM DAY পালিত হয়।
বিতর্ক
‘যুক্তিতে শক্তি’ এই চিন্তাকে লালন করে অত্র বিদ্যালয়। বিভিন্ন হাউজের শিক্ষার্থীরা আন্তঃহাউজ, আন্তঃক্লাস, গণমাধ্যমসহ জাতীয় পর্যায়ের সকল বিতর্ক প্রতিযােগিতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা।
মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম
মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার এক অন্যতম সার্থক ও ফলপ্রসু পদক্ষেপ। মাল্টি মিডিয়ার সু-ব্যবস্থা আছে।
কম্পিউটার ল্যাব + প্রযুক্তি নির্ভর ক্যাম্পাস
তথ্য প্রযুক্তি বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত শিক্ষার জন্য একটি প্রধান নিয়ামক ও পূর্বশর্ত। বিদ্যালয়ের সকল কার্যবিধি সিসি ক্যামেরা দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং কম্পিউটার ল্যাবের সু-ব্যবস্থা আছে।
বিজ্ঞানাগার + পাঠাগার
“হাতে কলমে বিজ্ঞান শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিজ্ঞানাগারের সু-ব্যবস্থা আছে এবং পাঠাগারে বিজ্ঞান বিষয়ক বই সহ বিভিন্ন ধরণের শিক্ষামূলক বই-এর ব্যবস্থা রয়েছে।
ক্লাসে উপস্থিতি ও জরিমানা
শিক্ষার্থীকে সর্বনিম্ন শতকরা ৮০ ভাগ ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হবে। বিনা অনুমতিতে কোন শিক্ষার্থী পর পর ৩ দিন অনুপস্থিত থাকলে তাকে কারণ দর্শানাের নােটিশ প্রদান করা হবে। কারণ সন্তোষজনক না হলে প্রতিদিন অনুপস্থিতির জন্য ২০/টাকা হারে জরিমানা আদায় করা হবে। এছাড়া টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে ২০/- টাকা হারে এবং সেমিস্টার পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ে ১০০/- টাকা হারে জরিমানা আদায় করা হবে। তবে একাধিকবার এরূপ ঘটলে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে কর্তৃপক্ষ যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
স্কুলের নিয়ম-শৃঙ্খলা
১. প্রভাতি শাখার নার্সারী থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন সকাল ৭.৪০ ঘটিকার মধ্যে ও দিবা শাখার শিক্ষার্থীদের ১১.০০ মিনিটের মধ্যে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে হবে।
২. জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শ্রেণি শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের
ইউনিফর্ম চেক করেন এবং প্রেরণামূলক আলােচনা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
৩. প্রভাতি শাখায় প্রত্যেক দিন সকাল ৮.০০ মিনিটে এবং দিবা শাখায় ১১.২০ মিনিটে
শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়।
৪. নিয়মিত স্কুল কার্যক্রম চালু থাকা অবস্থায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।
পরপর অনুপস্থিত থাকলে, অনুপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যাসহ অভিভাবকের লিখিত আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। অন্যথায় স্কুলের বিধি অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৫. প্রত্যেক শিক্ষার্থী পাঠ্যবই, স্কুল ডায়েরি, বর্ষপঞ্জি ও সিলেবাস সংশ্লিষ্ট শ্রেণি শিক্ষক
হতে সংগ্রহ করবে। ডায়েরিতে অভিভাবকের নাম, ঠিকানা লিখে ও নমুনা স্বাক্ষর করে সংশ্লিষ্ট শ্রেণি শিক্ষকের নিকট জমা দিয়ে স্বাক্ষর যাচাই করে নিতে হবে। ডায়েরি ব্যবহার করা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য বাধ্যতামূলক।
৬. স্কুল চলাকালে সকল শিক্ষার্থীকে পরিচয়পত্র (গলায় ঝুলিয়ে) সাথে রাখতে হবে।
৭, বাসার ঠিকানা ও মােবাইল নম্বর পরিবর্তন হলে সাথে সাথে ডায়েরিতে লিখে দিতে হবে এবং স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। জরুরি যে কোন কারণে যােগাযােগের জন্য ব্যবহৃত অন্তত দুইটি মােবাইল ফোন নম্বর দিতে হবে।
৮, ছাত্র-ছাত্রীদের মাসিক বেতন চলতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে (প্রিমিয়ার ব্যাংক) | ব্যাংকে (আলির মোেড়) জমা দিতে হবে। অন্যথায় পরবর্তী মাসে ২০/- টাকা
জরিমানা সহ বেতন দিতে হবে।
৯, অভিভাবক দিবসে অভিভাবকের উপস্থিতি একান্ত কাম্য।
১০, ক্লাস চলাকালীন সময়ে সুনির্দিষ্ট কারণ বা অনুমতি ছাড়া অভিভাবকগণের স্কুল অভ্যন্তরে প্রবেশ নিষেধ।
প্রাথমিক চিকিৎস্য কেন্দ্র + প্রােগ্রাম
প্রাথমিক চিকিৎসার বিবিধ ব্যবস্থা, First Aid Box, নিত্যপ্রয়ােজনীয় ঔষধসহ তাৎক্ষনিক সুস্থতা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রত্যেক বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের মননশীলতা, মূল্যবােধ, মানবিক ও সামাজিক গুণাবলীর উৎকর্ষ সাধনে পড়া-লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রত্যেক মাসের শেষ বৃহস্পতিবার অডিটোরিয়ামে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়ােজন করা হয়।
পাঠদান ও পরীক্ষা পদ্ধতি
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রতিটি কোর্স দুটি সেমিস্টারে সমাপ্ত করা হয়। অতঃপর চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও প্রস্তুতি যাচাইয়ের জন্য সাপ্তাহিক শ্রেণি পরীক্ষা ও মাসিক পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রয়ােজনীয় সংখ্যক অ্যাসাইনমেন্ট নেয়া হয়।
মেধাবীদের জন্য পুরস্কার
গােল্ডেন A+ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ৫০% এবং পর্যায়ক্রমে ৩০% ও ২০% মেধাভিত্তিক নানাবিধ সুবিধা দেয়া হয়। অত্র কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় গােল্ডেন A+ প্রাপ্তদের আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। এছাড়াও গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হয়।
শিক্ষক প্রশিক্ষণ
সরকারী ও বেসরকারীভাবে নানাবিধ প্রশিক্ষণে সারা বছর জুড়ে শিক্ষকগণ যার যার অবস্থানভিত্তিক প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন, যেন শিক্ষা কার্যক্রমে নতুনত্ব ও আধুনিক | যুগােপযােগী ভাবধারা বজায় থাকে। এছাড়া কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজস্ব তত্বাবধানে শিক্ষক প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের আয়ােজন করে থাকে।
বিশেষ ক্লাস
পি.এস.সি, জে.এস.সি, এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে অত্যন্ত যত্নের সাথে নির্দিষ্ট রুটিনের বাইরে বিশেষভাবে পরিচালিত বিশেষ ক্লাসের সু-ব্যবস্থা এবং মেধাভিত্তিক ক্লাস বন্টন করা হয়।
দায়িত্ব ও প্রতিজ্ঞা
১। বয়ােঃজেষ্ঠ্যদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও বয়ােঃকনিষ্ঠদের প্রতি স্নেহপরায়ণ হবাে।
২। সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপনে অভ্যস্থ হবাে।
৩। দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ থাকবাে এবং আর্ত মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়ােজিত রাখবাে।
৪। সর্বদা সত্য বলবাে এবং সৎ চিন্তা ও সৎ কর্মে অনুপ্রাণিত হবাে।
৫। সব ধরনের অসামাজিক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকবাে।
৬। প্রতিষ্ঠানের কোন সম্পদ অপব্যবহার ও নষ্ট করবাে না।
৭। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলবাে না।